Header Ads

Header ADS

অনলাইন আর্নিং সম্পর্কে জানুন।

 🔥🔥#অনলাইন_ইনকাম🔥🔥আপনি কি অনলাইনে $ ইনকাম করতে পারবেন কিন? যদি আপনি সত্যিকার অর্থে অনলাইনে ইনকাম করা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন। তাহলে আরটিক্যালটি কষ্ট করে শেষ পর্যন্ত পরবেন। তারপর যদি আপনার কোন প্রশ্ন❓থাকে ভাই/বন্ধু হিসেবে কমেন্টে লিখবেন।

আমি আমি বাস্তব অভিজ্ঞতাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। হয়তো লেখাটা অনেকের মন মতন হবেনা, কেননা সত্য শুনতে একটু খারাপই লাগে।

অনলাইন ইনকামের শত শত রাস্তা আছে। কিছু রাস্তা অনেক বড় আবার কিছু অনেল ছোট। আপনারা যারা ইউটিউব বা ফেইজবুকে বিভিন্ন ভিডিও দেখেছেন অনলাইন আর্নিংয়ের উপর প্রতিদিন ৩০০ টাকা ইনকাম করুন, কপি পেস্ট করে ইনকাম করুন, লিংক শেয়ার করে ইনকাম করুন। এরকম কোন টপিক্সে আমি কথা বলবো না। আমারে মতে এসব সোর্সগুলো ইনকামের নামে মানিষকে প্রলোভন দেখায়। আমি এই সাইটগুলোকে বলি অস্থায়ী ইনকাম সোর্স কারন কয়েকদিন হয়তো ঠিকি কামবেন। 

আমি অনলাইন জগৎটাকে চিনতে শুরু করেছি ৩ বছর ৪ মাস এর মতন হলো। কিন্তু এখনো সবই আজানা লাগে। যতটুকু জানি তাই শেয়ার করার চেস্টা করবো। অনলাইনে ইনকাম করতে অনেকেই বলেন কোন যোগ্যতা লাগেনা। আমি বলবো কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। অবশ্যই যোগ্যতা লাগে। আমার মতে আপনার দরকার ধ্যৈর্য, নতুন কিছু শিখার আগ্রহ, ইংরেজির উপর অনেক বেশী না হলেও বেসিক, কোন একটা কাজের উপর বিশেষ দক্ষতা।

 যেমন আপনি ভালো ছবি তুলতু জানেন এটা আপনার বিশেষ দক্ষতা। এখন আপনি চাইলে এই ছবি তুলার মাধ্যমেও আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। কিভাব???? আপনি যদি সত্যিই আকর্ষণীয় ছবি তুলতে পারেন, তাহলে সেই ছবি অনলাইনের বিভিন্ন সাইট আছে সেখানে বিক্রি করতে পারবেন (যেমনঃ৷ Alamy, shutterstock)। তাছাড়াও আপনি এই ছবি তুলার টিপসের উপর টিউটরিয়াল ভিডিও তৈরী করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন অথবা আপনার ছবি গুলো নিয়ে এমন একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারেন, যেখান থেকে আপনার ছবি গুলো বিক্রি করতে পারেন। 

অনেকেই বলেন ভাই অনলাইনে ইনকাম সম্ভব না, এই কথাটাও ভুল। হয়তো আপনি ভুলভাবে চেস্টা করেছেন। তা না হলে যারা মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন তাদের দ্বারা কিভাবে সম্ভব হলো। হ্যা অনলাইনে যেমন সঠিক রাস্তা আছে ভুল রাস্তাও আছে। ভুল রাস্তায় অল্প সময় অনেক কিছু পাওয়া গেলেও ক্ষতিপূরনটাও দিতে হয় অনেক বড়ো। তাই শর্টকাট রাস্তায় না চলাটাই ভালো। 

আমি সঠিক রাস্তাই দেখাবো। সবার প্রথম বের করুন আপনি কোন কাজ ভালো পাড়েন? ভালো কথা বলতে পারেন - কথা বলা, টাইপ করা,  গান গাওয়া, ছবি তুলা, জোকস বলা, টিচিং দেওয়া, ছবি এডিট, ভিডিও এডিটিং,  অডিও এডিটিং, ফটোশপ, এনিমেশন, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রগ্রামিং - এরকম শত শত ক্যাটাগরি আছে আপনি অবশ্যই কোন কাজে এক্সপার্ট সেটা খুজে বের করুন। 

তারপর খুজে বের করুন কোন প্লাটফর্ম আপনার জন্য ভালো৷  প্লাটফর্ম বলতে বুঝিয়েছি - ইউটিউব, ব্লগার, ওয়েবসাই,  আপওয়ার্ক, ফ্রি-ল্যান্সার এসবকে।

আমি একেকটা প্লাটফর্ম সম্পর্কে ধীরে ধীরে আলোচনা করবো। তাছাড়াও আপনার কোন প্লাটফর্মটি সম্পর্কে জানতে চানকমেন্টে লিখুন।     

এবার আসি অনলাইনে কাজ করতে কি কি লাগবে? ১/ ইন্টারনেট কানেকশন লাগবে ২/ল্যাপটপ/ডেক্সটপ কম্পিউটার/ভালো মানের স্মার্টফোন ৩/ধ্যৈর্য ৪/রেগুলার কাজ করার মানিসিকতা। ৫/সপ্ন কম দেখা।


অনেকেই অনলাইনে আসেন অনেক বড় বড় সপ্ন নিয়ে- তাই প্রথমেই মাথায় থাকে দামী সেটাআপ। আর খেয়ে না খেয়ে যখন সেটআপ করেই ফেলেন, তখন দেখেন আর্নিংয়ের খবর নাই,  হতাশা চলে আসে কাজের আগ্রহ ইনকামের আগেই বিলুপ্ত হয়ে যায়। আগেই বলেছি শর্টকাট রাস্তা ভাবা যাবেনা। আপনি যেই পরিশ্রম দিবেন সেটার ফল পাবেনি। ভালো একটা কথা মনে পড়লো।

 অনেকেই বলবেন ভাই অনেক পরিশ্রম করছি লাভ হয় নাই। একটা উদাহরণ দেই বুঝে যাবেন। যারা অর্নাস বা ডিপ্লমা সম্পূর্ণ করে জব করছেন তাদের স্টার্টিং সেলারী কত হয় - ২০,০০০/- বা ২৫০০০/- বা ৩৫০০০/-।  জবটা যারা পেয়েছেন তারা কি এমনি এমনি পেয়েছেন? খেয়াল করে দেখেন ১৬ বছর বা ১৪, ১৫ বছর পড়াশুনার পর চাকরীটা পেয়েছেন। তারপরও এমনি এমনি পায়নি শতশত কেনেডি ডেট এর সাথে প্রতিযোগিতা করে পেয়েছেন। আর টাকাটা মাস শেষে এমনি এমনি আসে না।  সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ০৫ টায় পর্যন্ত পরিশ্রম করার পর। 

অথচ অনলাইন আসলে কি করেন - এমন ভাবেন আজ এমন একটা কিছু করবে কালই টাকা আসবে। সেটা কিভাবে সম্ভব? তবে আমি বলবো অফলাইনের চার ভাগের এক ভাগ সময়, শ্রম, ধ্যের্য ধরে দেন ইনকাম অফলাইনের চারগুন বেশী পাবেন। 

আমি এই পোস্টেে অনলাইন আর্নিং সম্পর্কে বললাম, তাই নিদিষ্ট করে কিছু বলতে পারলাম না। পরবর্তীতে আমরা যেকোন একটি করে টপিক্স নিয়ে আলোচনা করবো। ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট করে পড়ার জন্য।           




No comments

Theme images by Bim. Powered by Blogger.